আম্মু নিচে গেছে ড্রেস আনতে | বাড্ডা | ছেলেধরা গুজব প্রাণ নিলো | �� �� �� Ne...
বাড্ডায় ছেলেধরা গুজব কেড়ে নিলো তাসলিমা বেগম রানু (৪০) নামে এক নারীর প্রাণ। উশৃঙ্খল কিছু যুবক পিটিয়ে হত্যা করলো তাকে। শনিবার সকালে এ ঘটনার পর এদিন রাতেই নিহতের বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ওই স্কুলে সন্তানদের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রানু।
এ অবস্থায় তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করেছিলেন আড়ং, ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে, পড়িয়েছিলেন স্কুলেও। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ঘরেই কাটাচ্ছিলেন অধিকাংশ সময়। উচ্চ শিক্ষিতা সংগ্রামী একজন নারীর ভাগ্যে এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছে না কেউ।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য গোটা সমাজকেই দায়ী করছে তাসলিমার পরিবার। সবকিছু ছাপিয়ে তাসলিমা বেগম রানুর আদরের দুই সন্তান তাহসিন আল মাহিদ ও তাসনিম তুবার ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তিত সবাই।
জানা গেছে, যেখানে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু নিহত হয়েছেন, সেই স্কুলের পাশের এক বাড়িতে এক সময় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। গত দুই বছর আগে স্বামী তসলিম হোসেনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তার। এরপর ছেলে তাহসিন আল মাহিদকে (১১) তার বাবা তসলিম হোসেন নিয়ে যায়। সে নোয়াখালীর চাটখিলে তার এক ফুফুর কাছে মানুষ হচ্ছে। তাসলিমা বেগম রানু মেয়ে তাসমিন তুবাকে (৪) নিয়ে মহাখালী ওয়ার্লেস গেটে জিপি জ-৩৩/৩ নং বাসায় ভাড়া থাকতেন।
No comments